অপু কর্মকার বাংলাদেশের নাগরিক। গত ২০১০ সালে সে এমন একটি বিদেশি শহরে পড়ার জন্য গিয়েছে যে শহর ছিল একসময় প্রবাসী বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত গঠনের মূল কেন্দ্র। অপু কর্মকার এই শহরে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছে
অপু পড়ার জন্য ব্রিটেনে গিয়েছে। আর বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটেনের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন, গণহত্যা, ভারতে আশ্রয় নেওয়া কোটি বাঙালি শরণার্থীর করুণ অবস্থা, মুক্তিবাহিনী গঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ব জনমতকে জাগ্রত করে তুলতে ব্রিটেনের প্রচার মাধ্যম বিশেষ করে বিবিসি এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন নিউইয়র্ক শহরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডভিত্তিক গান পরিবেশন
বিশ্ব জনমত সৃষ্টি ও দান সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে খুবই সহানুভূতিশীল ছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের বক্তৃতা বিবৃতি, পত্র-পত্রিকার সংবাদ-ফিচার, ব্রিটিশ শিল্প-সাহিত্যিকদের পরিবেশনা বিবিসির নিরন্তর সংবাদভাষ্য প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আন্তর্জাতিক মাত্রা লাভ করে। লন্ডন ছিল প্রবাসী বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত গঠনের মূলকেন্দ্র।
তাই বলা যায়, ব্রিটেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।