অপু কর্মকার বাংলাদেশের নাগরিক। গত ২০১০ সালে সে এমন একটি বিদেশি শহরে পড়ার জন্য গিয়েছে যে শহর ছিল একসময় প্রবাসী বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত গঠনের মূল কেন্দ্র। অপু কর্মকার এই শহরে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছে
হ্যাঁ, আমি মনে করি ব্রিটেন ছাড়াও অনেক দেশই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত এবং পরবর্তী সময়ের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এসব দেশের সরকার মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে। তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় অবদান ভারতের।
ইংল্যান্ড ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত গঠনের মূলকেন্দ্র। এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, পশ্চিম জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডার প্রচার মাধ্যমগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে সাহায্য করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালি বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি রাষ্ট্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ব্যক্ত করে। সে সময় ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক শাসন চলছিল। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল অসংখ্য ছাত্র সামরিক বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে বাংলাদেশে গণহত্যার বিরুদ্ধে মিছিল করে। ইন্দোনেশিয়ার টেলিভিশন মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি খন্দকার মোশতাক আহমদের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। এমনকি কিউবা, যুগোস্লাভিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, পূর্ব জার্মানি প্রভৃতি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন জানায়। মার্কিন প্রশাসনের বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, প্রচার মাধ্যম, - কংগ্রেসের অনেক সদস্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার ছিল।
উপরোক্ত আলোচনা হতে বলা যায়, ব্রিটেন ছাড়াও অনেক দেশ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল।