বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করে। তেমনি একটি সংস্থা 'অ'। 'অ' প্রতিষ্ঠানটির ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে নিজস্ব কোনো উদ্যোগ বা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতা অতি সীমিত।
মুক্তিযুদ্ধে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় 'অ' প্রতিষ্ঠানটির অর্থাৎ জাতিসংঘের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
ভারতে আশ্রিত শরণার্থীদের ভরণ-পোষণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ অনন্য অবদান রাখে। মুক্তিযুদ্ধকালীন শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ইন্দিরা গান্ধীর তৎপরতায় এ বিষয়টি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংকট থেকে আন্তর্জাতিক একটি ইস্যুতে পরিণত হয়। ইন্দিরা গান্ধী শরণার্থী সমস্যাকে জাতিসংঘে মানবিক বিপর্যয় সংক্রান্ত সমস্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ফলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) শরণার্থী সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। মানবিক বিপর্যয় রোধকল্পে জাতিসংঘের দুটি মিশন কাজ শুরু করে। একটি ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে, অন্যটি পূর্ব পাকিস্তানে। এছাড়া জাতিসংঘের সহযোগী সংগঠন 'ইউনিসেফ' শিশু খাদ্য কর্মসূচি হাতে নিয়ে মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে।
উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি, 'অ' সংস্থাটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। যা জাতিসংঘের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে মানবিক বিপর্যয় রোধে জাতিসংঘ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভারতে রম অবস্থানকারী বাংলাদেশের শরণার্থীদের বিভিন্ন অর্থ ও ত্রাণ সাহায্য দিয়ে জাতিসংঘ অবদান রাখে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে না পারলেও মানবিক বিপর্যয় রোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।