পুরুলিয়া গ্রামে জব্বার মিয়াকে এক গোপন সালিশে দোষী প্রমাণিত করে উক্ত গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শাস্তি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। ব্যাপারটি জানতে পেরে এনজিও প্রতিষ্ঠান 'সোনালি সংঘ' গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। ফলে গোপন ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। ফলে জব্বার মিয়া শাস্তি থেকে রক্ষা পায়
উদ্দীপকে জব্বার মিয়াকে রক্ষার জন্য যে এনজিও প্রতিষ্ঠান কাণ্ড করে, তার সাথে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গাবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের ভূমিকার সাদৃশ্য আছে।
স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকচক্রের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার এ শুভপদক্ষেপকে স্থিমিত করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানি শাসকেরা তার বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা করে এবং জেলে প্রেরণ করে। এখানেই শেষ নয়, বঙ্গবন্ধুকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়ার জন্য তারা এক প্রহসনমূলক বিচারের ফন্দি আঁটে। এ প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘ মহাসচিব হুঁশিয়ারি বার্তা প্রেরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জাতিসংঘের এই দৃঢ় অবস্থানের কারণে পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং বক্তাবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পান।
উদ্দীপকে দেখা যায়, পুরুলিয়া গ্রামের জব্বার মিয়াকে এক গোপন সালিশে দোষী প্রমাণিত করে এ গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শাস্তি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। ব্যাপারটি জানতে পেরে এনজিও প্রতিষ্ঠান 'সোনালী সংঘ' গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। এতে তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং জব্বার মিয়া শাস্তি থেকে রক্ষা পায়। জাতিসংঘের অনুরূপ ভূমিকার ফলে বঙ্গাবন্ধুও পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের এনজিওর ভূমিকার সাথে জাতিসংঘের ভূমিকা সাদৃশ্যপূর্ণ।