দাদু নাতিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জনগণের মুক্তি সংগ্রামের যথার্থতা বর্ণনা করেন। একই সাথে তিনি হানাদার বাহিনী দ্বারা অত্যাচারিত ও আশ্রয়হীন দেশত্যাগী জনগণকে ভারত সরকার কর্তৃক আশ্রয় প্রদান, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা দিয়ে মানবতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপনের কথা উল্লেখ করেন
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রচার মাধ্যম অনন্য ভূমিকা পালন করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রচার মাধ্যমগুলো পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন, লুণ্ঠন, গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অত্যাচার ও উৎপীড়ন প্রভৃতির সংবাদ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে। এছাড়া ভারতের সংবাদপত্র ও প্রচার মাধ্যমগুলো দৈনন্দিন পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালি নিধনের সংবাদ প্রচারে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। ভারতীয় প্রচার মাধ্যম পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালি নর-নারী নিধন ও নির্যাতনের সংবাদ দ্রুত বহির্বিশ্বে প্রচার করলে বিশ্ব জনমত সোচ্চার হয়ে ওঠে। তাছাড়া ভারতের প্রচার মাধ্যমগুলো ভারতে বাংলাদেশী শরণার্থীদের মানবেতর জীবনের চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে। তারা শরণার্থী শিবিরের মধ্যে বসবাসকারীদের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের দাবি করেন। এসব প্রচার প্রচারণার ফলে পাকিস্তানি অপকীর্তির খবরাখবর এত ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় যে, বিশ্বের বৃহৎ পরাশক্তি আমেরিকা এবং চীনের সমর্থন সত্ত্বেও পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে বাধ্য হয়। এভাবে ভারতীয় প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিল।