শহরতলীর বাসিন্দ মি. শফিক 'গ্রামীণ পরিবেশে, সড়কপথ, নদীপথ, বাজারের সান্নিধ্যসহ, উৎপাদনের অন্যান্য উপকরণের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে পৈতৃক ৫ বিঘা জমিতে ১০টি পুকুরখনন করে মৎস্য খামার গড়ে তোলেন। কিন্তু মাছের খাবার ও অন্যান্য খরচের তুলনায় উৎপাদিত মাছের বিক্রয়মূল্য দ্বারা লাভ করতে পারছেন না। তিনি পুকুরের ওপর পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে মুরগীর পয়ঃ দ্বারা মাছের খাদ্যের ব্যবস্থা করেন। এ প্রক্রিয়ায় তিনি খুব লাভবান হন।
মি. শফিকের ব্যবসায় কেন্দ্রটি গ্রামীণ পরিবেশে তথা গ্রাম্য অবস্থানে স্থাপনের বিষয়টি যৌক্তিক।
শহরকে ভিত্তি না ধরে শহর থেকে একটু দূরে সুবিধাজনক স্থানে শিল্প বা ব্যবসায় স্থাপনকে ব্যবসায়ের গ্রাম্য অবস্থান বলে। কিছু স্বতন্ত্র সুবিধা থাকার কারণে প্রাচীনকাল হতেই গ্রাম্য অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত মি. শফিক গ্রামীণ পরিবেশে সড়কপথ, নদীপথ, বাজারের সান্নিধ্যসহ উৎপাদনের অন্যান্য উপকরণের সুবিধা পেয়ে মৎস্য খামার গড়ে তোলেন। এখানে লক্ষণীয়, উক্ত গ্রামীণ পরিবেশে স্বাস্থ্যকর ও ঝামেলামুক্ত পরিবেশ, পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা, বাজারের নৈকট্য এবং উৎপাদনের উপকরণ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া মৎস্য খামার গড়ে তোলার জন্য গ্রাম্য অবস্থান সর্বাধিক কার্যকর বলেই বিবেচিত। কিন্তু মাছের খাবার ও অন্যান্য খরচের তুলনায় উৎপাদিত মাছের বিক্রয়মূল্য দ্বারা লাভ করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য মি. শফিক পুকুরের ওপর পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করে মুরগির পয়ঃ দ্বারা মাছের খাদ্যের ব্যবস্থা করেন। এ প্রক্রিয়ায় তিনি লাভবান হন। গ্রাম্য অবস্থান হওয়ায় তার মৎস্য খামারের পাশাপাশি পোল্টি ফার্ম স্থাপন তথা ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে যা শহুরে অবস্থানে সম্ভব হতো না। পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপনের জন্যও গ্রামীণ অবস্থান কর্যকর ভূমিকা রাখে।
পরিশেষে বলা যায, মি. শফিকের ব্যবসায় কেন্দ্রটি গ্রামীণ পরিবেশে তথা গ্রাম্য অবস্থানে স্থাপন করা যথার্থ ও যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।