মিতার বয়স যখন তেরো কি চৌদ্দ বছর তখন সে তার এক ম্যাডামের চাল-চলনে, কথা-বার্তায়, সাজ-সাজ্জায় মুগ্ধ হয়ে যায়। মনের অজান্তে নিজে ম্যাডামের মতো হওয়ার চেষ্টা করে। ম্যাডামের এই নান্দনিকতাবোধের কারণেই মিতাও একজন স্কুল শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রকাশিত করতে সক্ষম হলো। অন্যদিকে নীতা ছিল খুবই সাহসী ও মেধাবী। ক্লাসের সবাই তাকে সমীহ করলেও সে খুব কমই অন্যকে পাত্তা দেয়। কিন্তু কিছুদিন লক্ষ্য করে দেখলাম সুন্দর, গুছিয়ে, সাবলীলভাবে কথা-বলাকে সে খুবই গুরুত্ব প্রদান করে। এছাড়া সে নিজেই কথা-বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ মত প্রদানে, সঠিক যুক্তি প্রদানে অত্যন্ত পারদর্শী।
জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সার্বিক আলোচনা করে থাকে দর্শন। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে একটি বাস্তব, সুসংবদ্ধ ও যৌক্তিক, প্রায়োগিক ও যুগোপযোগী জ্ঞান প্রদান করাই হলো দর্শনের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। এটি জগৎ ও জীবন সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকে। নন্দনতত্ত্ব, নীতিবিদ্যা, গণিত, শিক্ষা, জগতের উৎপত্তি-ক্রমবিকাশসহ এমন কোনো দিক নাই যা দর্শন আলোচনা করে না। আর এ কারণে দর্শন জীবন ও জগতের সাথে সম্পৃক্ত।