শহিদদের ক্লাসে যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক জনাব মমতাজ নীতিবিদ্যা সম্পর্কে পড়াতে গিয়ে বললেন যে, দর্শনের দুটি শাখা হিসেবে নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যা উভয়েই আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান। তাই উভয়ের মাঝে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি আরও বললেন, ব্যবসায় নীতিবিদ্যা ও পেশাগত নীতিবিদ্যার সকল ক্ষেত্রে যুক্তিবিদ্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জনাব মমতাজ নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যার মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ অনুবন্ধের কথা বলেছেন।
কারণ নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যা উভয়ই আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান এবং উভয়ই দর্শনের দুটি প্রধান শাখা। যুক্তিবিদ্যা বিশেষ কতকগুলো নিয়মের বা আর্দশের সাহায্যে যুক্তির বৈধতা-অবৈধতা, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ণয় করে থাকে। অন্যদিকে, নীতিবিদ্যা ভালোত্ব-মন্দত্ব, ঔচিত্য- অনৈচিত্যের আদর্শের আলোকে মানুষের আচরণের ন্যায়ত্ব-অন্যায়ত্ব বিচার করে থাকে। যুক্তিবিদ্যা ও নীতিবিদ্যা উভয়ের লক্ষ্য সত্য বা সত্যের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা। যুক্তিবিদ্যা যেমন- ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে আমাদের সংগতিপূর্ণ আচরণের সুযোগ করে দেয়, তেমনি নীতিবিদ্যা ভালোত্ব-মন্দত্বের উপলব্ধি সৃষ্টি করে আমাদের আচরণকে ভালো করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ যুক্তিবিদ্যা ও নীতিবিদ্যা উভয়ই আমাদের যথাযথ আচরণ করতে সাহায্য করে। এসব বিচারে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও লক্ষণীয় যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক জনাব মমতাজ নীতিবিদ্যা সম্পর্কে পড়াতে গিয়ে শহিদদের ক্লাসে বললেন- দর্শনের দুটি শাখা হিসেবে নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যা উভয়েই আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান। তাই উভয়ের মাঝে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান, বা নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যার মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ অনুবন্ধের বিষয়কে নির্দেশ করে।