অনন্ত খুবই সৌন্দর্য পিপাসু। সে শিল্পকলা ও লতিতকলা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য কলা সম্পর্কীয় একটি বিজ্ঞান অধ্যয়ন করছে। এই বিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নান্দনিক ও আকর্ষণীয় দিক। সেগুলোকেই 'কলা' বলা হয়।
উদ্দীপকের অনন্তের অধীত বিজ্ঞানের নাম হলো নন্দনতত্ত্ব। তার কারণ হলো নন্দনতত্ত্ব কলা সম্পর্কীয় বিজ্ঞান। নন্দনতত্ত্ব হলো এমন বিষয় যার মধ্যে রয়েছে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় দিক। এই নান্দনিক ও আকর্ষণীয় বিষয়কে 'কলা' বলা হয়। 'কলা' মানুষের মনকে আকর্ষণ করে। মানুষের অনুভূতিকে জাগ্রত ও উদ্দীপ্ত করে। এজন্য সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ কলাকে ভালোবাসে। যে বস্তুর মধ্যে নান্দনিক দিক রয়েছে সেটি অন্য সব বস্তু থেকে আলাদা, পৃথক ও স্বতন্ত্র। যেমন- পোশাকে, আচার-ব্যবহারে, বুচিতে; চেহারায় যারা আদর্শ তাদের মধ্যে আলাদা আর্ট বা নান্দনিক দিক রয়েছে, যা মানুষের মনকে উদ্দীপ্ত করে এবং মানুষ বিভিন্ন মডেলের পোশাক, বেশভূষা, চলন-বলন সবই অনুকরণ করে। এর সবই নন্দনতত্ত্বের বিষয়। শিল্পকলা, ললিতকলা ও শৈল্পিকতা নিয়েই নন্দনতত্ত্ব বা নান্দনিকতার উৎপত্তি হয়েছে। অনুরূপভাবে উদ্দীপকে দেখা যায়, অনন্ত খুবই সৌন্দর্য পিপাসু। সে শিল্পকলা ও ললিতকলা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য কলা সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করছে। এই বিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নান্দনিক ও আকর্ষণীয় দিক। উদ্দীপকে বর্ণিত বিজ্ঞানের এ বিষয়গুলো নন্দনতত্ত্বের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকের অনন্তের অধীত বিজ্ঞানের নাম নন্দনতত্ত্ব।