অনন্ত খুবই সৌন্দর্য পিপাসু। সে শিল্পকলা ও লতিতকলা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য কলা সম্পর্কীয় একটি বিজ্ঞান অধ্যয়ন করছে। এই বিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নান্দনিক ও আকর্ষণীয় দিক। সেগুলোকেই 'কলা' বলা হয়।
নন্দনতত্ত্বের সাথে যুক্তিবিদ্যার কতকগুলো সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে। যুক্তিবিদ্যা ভাষায় প্রকাশিত অনুমান সংক্রান্ত বিজ্ঞান। বৈধ যুক্তি থেকে অবৈধ যুক্তি পার্থক্যের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান আহরণের সঠিক পথ নির্দেশ করে যুক্তিবিদ্যা। যুক্তিবিদ্যা হলো অনুমানমূলক চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান। যা ব্যবহারিক বিজ্ঞান ভ্রান্ত ধারণাকে পরিহার করে সত্যকে অর্জন করার উদ্দেশ্যে যুক্তিপদ্ধতির প্রক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, নন্দনতত্ত্ব হলো কলা সম্পর্কীয় বিজ্ঞান। নন্দনতত্ত্ব হলো এমন বিষয় যার মধ্যে রয়েছে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় দিক। 'কলা' মানুষের মনকে আকর্ষণ করে এবং অনুভূতিকে জাগ্রত ও উদ্দীপ্ত করে। যুক্তিবিদ্যা ও নন্দনতত্ত্বের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, উভয়ের মধ্যে আপাত পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের দিক থেকে যথেষ্ট সাদৃশ্য বিদ্যমান। উভয়ের ক্ষেত্রেই স্বীকার্য ও পরিহারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি বিন্যাস, যুক্তি কৌশল সুন্দর হলে মানুষের নিকট হয় গ্রহণীয়। অসুন্দর হলে হয় পরিহারযোগ্য। যুক্তির মধ্যেও রয়েছে সৌন্দর্য ও আকর্ষণীয়বোধ। এজন্য যুক্তিবিদ্যাকে কেবল আর্ট বলা হয় না। বলা হয় 'যুক্তিবিদ্যা হলো শীর্ষ আর্ট।'
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, শিক্ষা ও সামাজিক পদমর্যাদা ভেদে যুক্তিচিন্তা ও নান্দনিক সুখ ভোগ আলাদা হয়ে থাকে। কোনো একটি বিশেষ চিন্তা বা যুক্তি ও কলা সব মানুষের বেলায় প্রযোজ্য নয়।