দৃশ্যকল্প-২: বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার অশিক্ষা, দারিদ্র্য, পূর্বসংস্কার এসবের প্রভাবে ছেলেমেয়েদের সাথে নেতিবাচক আচরণ করে থাকে যন্ত্র প্রভাব পরবর্তীতে সন্তানদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। তা ছাড়া সন্তানদের বং দল, খেলার সাথি, শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, মূল্যবোধ ইত্যাদি যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ত্রুটিপূর্ণ হয়। ▲ শিখনফল-৩ ও ৫(ঢা. বো., দি. বো, সি বোং, য. বোং১৯
সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দৈহিক সুস্থতার পাশিপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজন।
মানসিক স্বাস্থ্য হলো অবাঞ্ছিত আচরণ ও অসংগতি দূর করা এবং সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যম জীবনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা। দেহ-মনের সুষ্ঠু পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য পূর্ণতা লাভ করে। নিম্নে উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকিসমূহ বিশ্লেষণ করা হলো।
জন্মের পর শিশুর প্রথম জায়গা হলো তার পরিবার। এই পারিবারিক পরিবেশ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। বাংলাদেশের বেশির ভাগ পরিবারের ছেলেমেয়েরা পরিবারের অশিক্ষা, পূর্বসংস্কারে প্রভাবে প্রভাবিত যা বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো তার খেলার সাথি। কারণ, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে খেলার সাথি বা বন্ধু-বান্ধব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিশু যাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করে, চলাফেরা করে বা সময় কাটায়, যেমন খেলার সাথি বা বন্ধু-বান্ধব তাদের আচার-আচরণ, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও শিক্ষাগত অবস্থা, মূল্যবোধ ইত্যাদি যদি সুষ্ঠু ও সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক তথা মানসিক স্বাস্থ্যের সুষ্ঠু বিকাশ বিঘ্নিত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছেলেমেয়েদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পারিবারিক ও শিক্ষাগত অবস্থা মূল্যবোধ সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মানুষ যদি শিক্ষিত না হয়, তবে সে তার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সত্যিকার অর্থে সচেতন হতে পারে না। যার প্রভাব তার ছেলে-মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে।
উল্লিখিত ঝুঁকিসমূহ বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের গতিধারাকে বিঘ্নিত করছে। ফলে দৈহিক সুস্থতা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।