রাকিব, রাসেল ও কণা তিন ভাইবোন। রাকিবের বয়স ১১ বছর ও রাসেলের বয়স ১৭ বছর। তাদের মামা গতকাল আমেরিকা থেকে এসেছেন। তিনি দু'ভাইকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা বড় হয়ে কি হতে চাও? রাকিব বলল, সে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। রাসেল বলল, সে ভবিষ্যতে হিসাব নিকাশের কাজ করতে চায়, তাই সে ব্যবসায় শিক্ষাতে পড়াশোনা করছে। রাকিবের কথা শুনে মামা খুব হাসলেন। কণার বয়স ১২ বছর, তার আগ্রহ গান-বাজনার প্রতি। সে নিজেকে গায়িকা হিসেবে কল্পনা করতে ভালোবাসে। মামা ও বাবা-মা তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিলেন ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবার জন্য
রাকিব ও রাসেলের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পরিবেশের অর্থনৈতিক প্রভাব বিদ্যমান।
জীবিকার নিমিত্তে অর্থনৈতিক প্রভাব বয়ঃসন্ধিকালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এ সময়ে ছেলেমেয়েরা অর্থনীতির কথা বিশেষভাবে চিন্তা করে, তারা ভাবে কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। কোন পেশা নির্বাচন করলে সুখী হওয়া যাবে অথবা কোন বৃত্তি বাছাই করলে জীবনে সফলতা আসবে-এ সময়ে ছেলেমেয়েরা চিন্তা করে।
উদ্দীপকে বর্ণিত রাকিবের বয়স ১১ বছর ও রাসেলের বয়স ১৭ বছর। তাদের মামা তাদের জিজ্ঞাসা করে বড় হয়ে কি হবে, রাকিব ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার এবং রাসেল ভবিষ্যতে হিসাব-নিকাশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। অর্থনৈতিক প্রভাবের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়েরা পেশা সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা পোষণ করে। রাকিবের বয়স ১১ বছর এ বয়সে ছেলে মেয়েরা নিজেদের দক্ষতার বাইরেও নানা রকম অবাস্তব জীবিকা পছন্দ করতে পারে, যেমন- রাকিব ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। কোন রকম দক্ষতা ছাড়াই না জেনে এ পেশা বেছে নেয়। অন্যদিকে, রাসেল পেশা নির্বাচনে বাস্তবধর্মী। কারণ ১৭ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বাস্তবভিত্তিতে জীবনের প্রেক্ষাপটে বৃত্তি বা পেশা বাছাই করে। এ ধরনের পেশা সাধারণত বাস্তবধর্মী হয়।