রাকিব, রাসেল ও কণা তিন ভাইবোন। রাকিবের বয়স ১১ বছর ও রাসেলের বয়স ১৭ বছর। তাদের মামা গতকাল আমেরিকা থেকে এসেছেন। তিনি দু'ভাইকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা বড় হয়ে কি হতে চাও? রাকিব বলল, সে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। রাসেল বলল, সে ভবিষ্যতে হিসাব নিকাশের কাজ করতে চায়, তাই সে ব্যবসায় শিক্ষাতে পড়াশোনা করছে। রাকিবের কথা শুনে মামা খুব হাসলেন। কণার বয়স ১২ বছর, তার আগ্রহ গান-বাজনার প্রতি। সে নিজেকে গায়িকা হিসেবে কল্পনা করতে ভালোবাসে। মামা ও বাবা-মা তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিলেন ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবার জন্য
কণার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পরিবেশের সাংস্কৃতিক প্রভাব বিদ্যমান, যা তার ভাইদের প্রভাব থেকে ভিন্ন।
বয়ঃসন্ধিকালকে সঙ্কটকাল বলা হয়। এ সময়ে ছেলেমেয়েরা পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠে। তারা চায় সিনেমা বা নাটকের নায়কের মত হতে। সাংস্কৃতিক পরিবেশ হলো ব্যাপক অর্থে শিল্প, সাহিত্য, নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য, খেলাধুলা, চিত্র, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং নৈপুণ্য অর্জন বয়ঃসন্ধিকালের ছেলে-মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উদ্দীপকে কণার বয়স ১২ বছর। সে এখন বয়ঃসন্ধিকাল অবস্থান করছে। গান বাজনার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ। নিজেকে গায়িকা হিসেবে কল্পনা করতে ভালবাসে। কণার বাবা-মা, মামা সাংস্কৃতিক কর্মী না হলেও তারা কণাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিলেন ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবার জন্য। কাজেই এ বয়সে কণার বাবা-মার অনুপ্রেরণার এবং অনুকূল পরিবেশ সহজেই সাংস্কৃতিক প্রভাবে প্রভাবিত করে পরবর্তী জীবনে তাকে সাংস্কৃতিক কর্মী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
পরিশেষে বলা যায়, সাংস্কৃতিক প্রভাব ছেলেমেয়েদের নৈতিকতাকে বিকশিত করে, আচরণে সক্রিয়তা তৈরি করে, গঠনমূলক ও উদ্ভাবনীমূলক মনোভাব তৈরির পাশাপাশি কল্পনা শক্তিকে বিকশিত করে।