Academy

ফরিদপুর গ্রামের অধিকাংশ কৃষক গরিব। অর্থ এবং কারিগরি জ্ঞানের অভাবে তারা কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে না। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে তারা একজোট হয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে তারা ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে ফসল চাষ করে সফল হলো।

উদ্দীপকে উল্লিখিত কৃষি ঋণের উৎসসমূহ ব্যাখ্যা করো। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

উদ্দীপকে কৃষকদের সমবায়ের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে ফসল চাষের কথা বলা হয়েছে।

ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার জন্যে যে সকল ব্যক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষক মূলধন সংগ্রহ করে থাকে সেগুলোই কৃষি ঋণের উৎস। কৃষি ঋণের উৎস দুই ধরনের। যেমন- প্রাতিষ্ঠানিক উৎস ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস। প্রাতিষ্ঠানিক উৎসের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ভূমি বন্ধকী ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিলে কৃষকের প্রতারিত হবার সম্ভাবনা কম থাকে। কৃষক তার চাহিদা মাফিক ঋণ পেতে পারে। অনেক সময় কোনো বন্ধকীও দেওয়া লাগে না। দুর্যোগকালীন সময়ে বিশেষ সুবিধা বা কম সুদে ঋণ পাওয়া যায়। তবে কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেমন- অনেক কৃষকের বন্ধকী দেওয়ার মতো জমি বা অন্যান্য স্থায়ী সম্পদও থাকে না। এ উৎসের ঋণ নেবার ক্ষেত্রে দালালদের দ্বারা প্রতারিত হবার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি দালালেরাও সংস্থা দ্বারা অনেক' সময় প্রতারিত হতে পারে। এই ঋণ নিতে প্রচুর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। যার কারনে অনেক সময় ঋণ পেতে দেরি হয়। কৃষি ঋণের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎসের মধ্যে রয়েছে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব, দালাল ও ব্যাপারী, গ্রাম্য মহাজন, গ্রাম্য ব্যবসায়ী ও দোকানদার, ধনী কৃষক ইত্যাদি। এই ঋণ পেতে জামানত লাগে না এবং অতি দ্রুত টাকা হাতে পাওয়া যায়। প্রাতিষ্ঠানিক উৎসের তুলনায় এই ঋণে সুদের হার কম থাকে বলে বর্তমানে এর চাহিদা বেশি। এই ধরনের ঋণেরও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন- সুদের হার বেশি, স্বল্পমেয়াদি এবং ঋণ পরিশোধে কিস্তি সুবিধা কম। ঋণগ্রহীতা অনেক সময় তার সর্বস্ব হারায়। উল্লিখিত প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উভয় উৎস থেকে কৃষক ঋণ নিতে পারে।

9 months ago

কৃষিশিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion