কুড়িগ্রামের উলিপুর গ্রামের কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়। আবার সঠিকভাবে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণেও অসুবিধা হয়। কৃষি কর্মকর্তার কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তিনি কৃষকদের নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে এক ধরনের সমিতি গঠনের পরামর্শ দেন এবং এই সমিতির আইনের বিষয়টিও বুঝিয়ে বলেন।
পল্লির ভূমিহীন, স্বল্পবিত্ত বা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উৎপাদন ধারায় আনতে জামানতবিহীন অল্প পরিমাণ যে ঋণ দেওয়া হয় তাকে ক্ষুদ্রঋণ বলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এনজিও থেকে সহজে ক্ষুদ্রঋণ পাওয়া যায়। যেমন- গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা প্রভৃতি। ক্ষুদ্রঋণ অনেকগুলো কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। এনজিওগুলো প্রথমে গ্রুপ/সংগঠন তৈরি করে এবং পরবর্তীতে গ্রুপের সদস্যদের চাহিদার ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করে থাকে। গ্রুপ বা দল ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। ক্ষুদ্রঋণ ব্যবহার করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম হচ্ছে। কাজেই, জামানতবিহীন, সহজলভ্য ও স্বল্প সময়ে পাওয়া যায় এবং ঋণের সদ্ব্যবহার ও আদায় নিশ্চিত করা হয় বলে ক্ষুদ্রঋণ জনপ্রিয়।