একদিন শ্রেণিশিক্ষক ক্লাসে সমবায় আইন সম্পর্কে পড়ানোর সময় বলেন, '১৮০০ সালের ২৮ জুন ইংল্যান্ডের ছোট শহর রচভেলে পৃথিবীর প্রথম সমবায় প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়েছিল। কতগুলো নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে এ সমিতি গড়ে ওঠে এবং সময়ের আবর্তনে তাদের অনুসৃত এ সমস্ত নীতি পৃথিবীর সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।' পরিশেষে শ্রেণিশিক্ষক বলেন, “দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সমবায় আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।”
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান সমবায় সমিতি পরিচালনায় রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধি বা আইন।
সমবায় প্রতিষ্ঠা করা, নিবন্ধন করা, পরিচালনা করা ও সমবায়ের সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণের আইনকে সমবায় আইন বলে। সমবায় আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করা হয় সদস্যদের ও দেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের জন্য। সমবায়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধি রয়েছে। যেমন-
বিধি-১: সমবায়ের সংক্ষিপ্ত নাম থাকবে।
বিধি-২: সমবায় অর্থবহ ও সংজ্ঞায়িত হবে।
বিধি-৩: বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সমবায় সমিতি গঠন করা যাবে।
বিধি-৪: সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান ও শাখা কার্যালয় থাকবে।
বিধি-৫: অধিদপ্তরের একজন নিবন্ধক থাকবেন। নিবন্ধককে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারি থাকবেন।
বিধি-৬: ক. প্রাথমিক সমিতির সদস্য ২০ জন হবেন, খ. কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিতে দশটি প্রাথমিক সমবায় সমিতি থাকবে। জাতীয় সমবায় সমিতিতে দশটি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সদস্য থাকবেন।
বিবিধ-৭: ১. নিবন্ধন জাতীয় সমবায় শব্দ ব্যবহার নিষেধ, ২. প্রচার করা যাবে না, এ বিধি লঙ্ঘন করলে কারাদণ্ড (৭ বছর) ও জরিমানা (১০ লক্ষ টাকা) বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
সমবায়ের উপরিউক্ত বিধি লঙ্ঘন করলে জেল জরিমানা ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।