Academy

করিম উপকূলীয় এলাকার একজন মৎস্য চাষি। অধিক লাভবান হওয়ার আশায় তিনি বাংলাদেশের 'সাদা সোনা' নামে পরিচিত মাছের চাষ করেন। কিন্তু মাছ পচনশীল হওয়ায় সঠিক সময়ে ভালো মানের মাছ বিক্রি করা তার জন্য দূরহ ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় তার বন্ধু শরীফ তাকে কৃষি সমবায়ের সদস্য হতে বলেন।

বাংলাদেশে করিমের চাষকৃত মাছের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করো। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

বাংলাদেশে চিংড়ি একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক জৈব সম্পদ। বাংলাদেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, মাটি এবং পানি চিংড়ি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। যেমন-

বাংলাদেশের অসংখ্য নদী, খাল, ডোবা, পুকুর এবং বঙ্গোপসাগরের ৪৮০ কিলোমিটার তটরেখা বরাবর অর্থনৈতিক এলাকাসমূহে চিংড়ি চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে উপকূলীয় এলাকার ৪০% জমিতে অর্থাৎ প্রায় ১.৭২ লাখ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। আরও অন্তত ২.৩৫ লাখ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রতি বছর রপ্তানিকৃত মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের প্রায় ৫৮% হলো চিংড়ি। বর্তমানে চিংড়ি খামারের আয়তন ২.৫৮ লক্ষ হেক্টর। বাংলাদেশে চিংড়ির পোনা আহরণের কাজে জড়িত রয়েছে ৮.৩৩ লক্ষ এবং উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে জড়িত রয়েছে ১.৫-২.০ লক্ষ লোক। তাছাড়া প্রক্রিয়াজাতকৃত হিমায়িত চিংড়ি বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

উপকূলীয় এলাকার বহুলোক একই জমিতে বছরে একবার ধান উৎপাদন করছে এবং একবার চিংড়ি চাষ করছে। বিশেষ করে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট অঞ্চলে ধানক্ষেতে বাগদা চিংড়ি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। রয়েছে। পাশাপাশি স্বাদু পানিতে অর্থাৎ ধানক্ষেতে গলদা চিংড়ি চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

9 months ago

কৃষিশিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion