হরিপুর গ্রামটি সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে বেশিরভাগ মানুষ মাছের শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু তারা সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারায় লাভবান হতে পারে না। মধ্যসত্ত্বভোগীদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা তাদের একটি সমবায় সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন যাতে তারা সঠিকভাবে শুঁটকি বাজারজাত করতে পারে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা হরিপুর গ্রামবাসীকে শুঁটকি সঠিকভাবে বাজারজাত করার জন্য বাজারজাতকরণ সমবায় গঠন করতে বলেন। কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সমবায় বাজারজাতকরণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সমবায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও ভোক্তার কাছে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
হরিপুর গ্রামবাসী যদি বাজারজাতকরণ সমবায় গড়ে তোলে তবে তাদের উৎপাদিত শুঁটকি সঠিকভাবে বাজারে সরবরাহ করার পাশাপাশি নিজেরাও এর ন্যায্যমূল্য পাবে। মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম থেকে রেহাই পাবে। এতে করে আরও ব্যক্তিরা এ কাজে উৎসাহিত হবে। বাজারের চাহিদা, বাজার দর, বাজারে পণ্যের ঘাটতি, ভবিষ্যৎ চাহিদা ইত্যাদি বাজার সংক্রান্ত তথ্য সমবায়ের মাধ্যমে সহজে সরবরাহ করা যায়। ফলে বাজারজাতকরণ সহজ হয়। অর্থাৎ গ্রামবাসীরা এ সমবায়ের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন করতে পারবে। অতএব, কৃষি কর্মকর্তার উক্তিটি যথার্থ ছিল।