জনাব আবুল কালাম তার বাড়ির পাশের পুকুরে একটি মাছের একক চাষ করেন। তার চাষকৃত মাছটি ১৯৭৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে প্রথম আমাদের দেশে আনয়ন করা হয়। মাছটি অধিক ফলনশীল, শক্ত গড়নের এবং সুস্বাদু। একদিন তিনি লক্ষ করেন তার পুকুরের কিছু মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে তিনি বলেন এটি মাছের একটি মারাত্মক রোগ। তিনি এই রোগ দমনে কালামকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিলেন।
আবুল কালামের চাষকৃত মাছটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।
(প্রয়োগ)আবুল কালামের চাষকৃত মাছটি হলো রাজপুঁটি।
রাজপুঁটি মাছ দ্রুত বর্ধনশীল। আকারে চ্যাপ্টা, গায়ের রং উজ্জ্বল রূপালি বর্ণের এবং বুক ও পাখার রং হালকা হলুদ। দেখতে অনেকটা দেশি সরপুঁটির মতো। তবে দেশি সরপুঁটির চেয়ে ৪০-৫০% বেশি উৎপাদনশীল।
রাজপুঁটি মাছ ৩-৬ মাসে ১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের ও ২০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। এরা বদ্ধ জলাশয়ে ডিম ছাড়ে না; প্রবাহমান পানিতে, যেমন- নদী, খাল ইত্যাদিতে ডিম ছাড়ে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে যেকোনো অগভীর মৌসুমি/বাৎসরিক পুকুর, ডোবা বা পতিত জলাশয়ে চাষ করা যায়। ধানক্ষেতেও এর চাষ করা যায়। অপেক্ষাকৃত বিরূপ পরিবেশ, যেমন- কম অক্সিজেনযুক্ত ও বেশি তাপমাত্রার পানি, বিশেষ করে ঘোলা পানিতেও চাষ করা যায়। চাষ ব্যবস্থাপনা সহজ ও খরচ কম। কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্রচাষ করা যায়। এ মাছ ৩-৬ মাসের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য হয়। খেতে সুস্বাদু বলে বাজারমূল্য বেশি।