জনাব আবুল কালাম তার বাড়ির পাশের পুকুরে একটি মাছের একক চাষ করেন। তার চাষকৃত মাছটি ১৯৭৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে প্রথম আমাদের দেশে আনয়ন করা হয়। মাছটি অধিক ফলনশীল, শক্ত গড়নের এবং সুস্বাদু। একদিন তিনি লক্ষ করেন তার পুকুরের কিছু মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে তিনি বলেন এটি মাছের একটি মারাত্মক রোগ। তিনি এই রোগ দমনে কালামকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিলেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে আবুল কালামের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করো।
(উচ্চতর দক্ষতা)আবুল কালামের পুকুরের রাজপুঁটি মাছ ক্ষতরোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাকে ক্ষতরোগ দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং তিনি সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আবুল কালামের গৃহীত প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক পদক্ষেপগুলো হলো-
১. পুকুরের তলদেশের অতিরিক্ত কাদা পরিষ্কার করেন।
২. অতিরিক্ত আগাছা পরিষ্কার করেন।
৩. পুকুরে যথেষ্ট সূর্যালোকের ব্যবস্থা করেন।
৪. শীতের শুরুতে পুকুরে প্রতি শতকে ১ কেজি ডলোচুন ও ৫০০ গ্রাম লবণ প্রয়োগ করেন।
৫. প্রতি কেজি খাবারে ১০০ মিলিগ্রাম হারে স্ট্রেপটোমাইসিন মিশিয়ে দেন।
৬. আক্রান্ত মাছগুলোকে ২-৩% লবণ বা ৫ পিপিএম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে ১ ঘণ্টা অথবা ১ পিপিএম তুঁতের দ্রবণে ১০- ১৫ মিনিট গোসল করান।
উল্লিখিত প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও তিনি প্রতিমাসে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সুষম খাদ্য সরবরাহ করেন। এভাবে তিনি ক্ষতরোগ দমন করেন।