শরিফুল যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণে জানতে পারলো মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ একটি বিশেষ খাবার। প্রয়োগ করা অতীব প্রয়োজন। তিনি সেই খাবার প্রয়োগ করতে গিয়ে দেখেন কিছু মাছ চঞ্চল হয়ে চারদিকে ছুটাছুটি করছে এবং শক্ত বস্তুর সাথে শরীর ঘষছে। মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন।
জাউদ্দীপকে উল্লিখিত বিশেষ খাদ্য বলতে সুষম সম্পূরক খাদ্যকে বোঝানো হয়েছে।
মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পুকুরে বিদ্যমান প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি বাইরে থেকে যে খাদ্য দেওয়া হয় তাকে সম্পূরক খাদ্য বলে। সম্পূরক খাদ্যের মধ্যে সকল খাদ্য উপাদান পরিমিত পরিমাণে উপস্থিত থাকলে তাকে সুষম সম্পূরক খাদ্য বলে। উন্নত পদ্ধতিতে মাছ চাষের ক্ষেত্রে পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে সম্পূরক খাদ্যের প্রয়োগ পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো-
১. নমুনায়নের মাধ্যমে পুকুরে মজুদ মাছের মোট ওজন জেনে নিয়ে সম্পূরক খাদ্যের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে।
২. প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রতিদিন ২ ভাগ করে সকাল ও বিকেলে পুকুরে দিতে হবে।
৩. প্রথমে পুকুরের আকার অনুযায়ী কয়েকটি স্থান নির্দিষ্ট করে বাঁশ পুঁতে চিহ্নিত করতে হবে।
৪. চিহ্নিত স্থানে ১ মিটার গভীরতায় পাটাতনে, ট্রেতে বা সরাসরি বল করে রাখা সম্পূরক খাদ্যগুলো পুকুরে দিতে হবে।
৫. খাদ্য প্রদানের স্থান মাঝে মাঝে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
মাছের দ্রুত বৃদ্ধি ও অধিক উৎপাদন নিশ্চিত করতে উপরিউক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য প্রদান করতে হবে।