শরিফুল যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণে জানতে পারলো মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ একটি বিশেষ খাবার। প্রয়োগ করা অতীব প্রয়োজন। তিনি সেই খাবার প্রয়োগ করতে গিয়ে দেখেন কিছু মাছ চঞ্চল হয়ে চারদিকে ছুটাছুটি করছে এবং শক্ত বস্তুর সাথে শরীর ঘষছে। মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন।
শরিফুলের পুকুরের মাছগুলোর মধ্যে কিছু মাছ চারদিকে ছুটাছুটি করছিল এবং কোনো কিছুর সাথে শরীর ঘষছিল। অর্থাৎ পুকুরের মাছগুলো উকুন দ্বারা আক্রান্ত ছিল।
উক্ত অবস্থার প্রতিকারে মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শগুলো ব্যাখ্যা করা হলো-
১. পুকুরে নিয়মিত সার প্রয়োগ ও প্রাকৃতিক খাদ্যের যোগান ঠিক রাখতে হবে।
২. মাঝে মাঝে পুকুর শুকিয়ে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
৩. বাইরে থেকে পানি ও অবাঞ্ছিত প্রাণী পুকুরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
৪. কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত পোনা মজুদ করা যাবে না।
৫. পুকুরে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করা এবং পুকুরে কোনো ক্ষতিকর দ্রব্য ফেলা যাবে না।
৬. পুকুরের পাড়ে বড় ধরনের কোনো গাছ রাখা যাবে না।
৭. পুকুরের তলায় অতিরিক্ত কাদা রাখা যাবে না।
উপরিউক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শরিফুল তার পুকুরের মাছকে উকুনমুক্ত রাখতে পারবেন।