নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্রটি হলো বাগদা চিংড়ির।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ির মধ্যে ৩৬টি প্রজাতির চিংড়ি উপকূলীয় এলাকা বা সামুদ্রিক বা লোনা অঞ্চলের। এসব চিংড়ির মধ্যে বাণিজ্যিক দিক থেকে বাগদার অবদান ৫৫%। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাগদা চিংড়ির ভূমিকা নিচে আলোচনা করা হলো- দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারের জন্য বাগদা চিংড়ির চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে উপকূলের প্রায় ২,১৬,০০০ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। তন্মধ্যে ১,৯০,০৮০ হেক্টর জমিতে সনাতনী/ সম্প্রসারিত পদ্ধেিত চাষ হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে পোনা মজুদ ও পানি বদল ছাড়া তেমন কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন কমবেশি ৩০০ কেজি। তবে ধান ও চিংড়ি পর্যায়ক্রমে চাষ করা যায়। কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নত বদ্ধ পদ্ধতির চাষ হতে পারে এটি খুবই সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ। বর্তমানে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষ হয় এবং উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ৪.০-৫.০ মেট্রিক টন। অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে এ উৎপাদন ৮ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব। এভাবে মাত্র ২০,০০০ হেক্টর জমিতে এ চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে বছরে অতিরিক্ত এক লাখ মেট্রিক টন বাগদা চিংড়ি জাতীয় উৎপাদনে যোগ করা সম্ভব। ফলে এ খাতের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থানেরও অধিক সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশে বেকারত্বের পরিমাণ হ্রাস পাবে। গ্রামাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর আধিক স্বনির্ভরতা ফিরে আসবে। জীবনমানে উন্নয়ন ঘটবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, বাগদা চিংড়ি দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।