তহমিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার পুকুরে নাইলোটিকা মাছ চাষ করেন কিন্তু মাছের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। তিনি মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ চান। মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট নয়। এজন্য মাছের অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রয়োজন হয়। মৎস্য কর্মকর্তা এ খাদ্য তৈরির কৌশলও তহমিনাকে বুঝিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি হলো সম্পূরক খাদ্য।
ফলনের দিক দিয়ে রাজপুঁটি মাছটি অন্য যেকোনো দেশীয় পুঁটি মাছের চেয়ে প্রায় ৪০-৫০% বেশি উৎপাদনশীল। পারিবারিক শ্রম দ্বারা অল্প খরচে ও স্বল্প ব্যবস্থাপনায় মৌসুমি বা বাৎসরিক পুকুরে এ মাছের চাষ করা যায়। ধানক্ষেতেও এর চাষ করা যায়। কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্রচাষ করা যায়। এ মাছ ৩-৬ মাসের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য হয়। খেতে সুস্বাদু বলে বাজারমূল্যও বেশি। এসকল কারণে রাজপুঁটি মাছ চাষ লাভজনক।