তহমিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার পুকুরে নাইলোটিকা মাছ চাষ করেন কিন্তু মাছের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। তিনি মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ চান। মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট নয়। এজন্য মাছের অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রয়োজন হয়। মৎস্য কর্মকর্তা এ খাদ্য তৈরির কৌশলও তহমিনাকে বুঝিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি হলো সম্পূরক খাদ্য।
উদ্দীপকের মৎস্য কর্মকর্তা যেভাবে মাছের খাদ্য তৈরির কৌশল বুঝিয়ে দিলেন তা ব্যাখ্যা করো।
(প্রয়োগ)মৎস্য কর্মকর্তা তহমিনাকে মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য প্রদানের পরামর্শ দেন। তিনি নিম্নলিখিত উপায়ে সম্পূরক খাদ্য তৈরি করতে বলেন-
১. প্রয়োজনীয় পরিমাণ সরিষার খৈল একটি পাত্রের পানিতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২. এরপর ভিজা খৈলের সাথে প্রয়োজনীয় পরিমাণ নিচের উপাদানগুলো মিশিয়ে ১০ কেজি খাবার তৈরি করতে হবে।
খাদ্যোপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. চালের কুঁড়া | ৩.৫ কেজি |
২. গম/ডালের ভুসি | ২.০ কেজি |
৩. সরিষার খৈল | ৩.০ কেজি |
৪. শুঁটকি মাছের গুঁড়া | ১.০ কেজি |
৫. চিটাগুড় | ৪০০ গ্রাম |
৬. ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ | ১০০ গ্রাম |
মোট | ১০ কেজি |
৩. মিশ্রিত খাদ্যোপাদানগুলো দিয়ে হাতের সাহায্যে ছোট বল তৈরি করে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।