তহমিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার পুকুরে নাইলোটিকা মাছ চাষ করেন কিন্তু মাছের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। তিনি মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ চান। মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট নয়। এজন্য মাছের অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রয়োজন হয়। মৎস্য কর্মকর্তা এ খাদ্য তৈরির কৌশলও তহমিনাকে বুঝিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি হলো সম্পূরক খাদ্য।
উদ্দীপকে মৎস্য কর্মকর্তার শেষ উক্তিটি হলো, "মাছের উৎপাদন
বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি হলো সম্পূরক খাদ্য।" মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পানিতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি বাইরে থেকে যেসব বাড়তি খাদ্য দেওয়া হয় সেগুলোই সম্পূরক খাদ্য।
সম্পূরক খাদ্যে মাছের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান যথাযথ মাত্রায় বিদ্যমান থাকে। সম্পূরক খাদ্যে যেসব উপাদানগুলো থাকে সেগুলো হলো চালের কুঁড়া, গম ও ডালের ভুসি, সরিষা বা তিলের খৈল, মাছের গুঁড়া, শস্যদানা, পশু-পাখির নাড়িভুঁড়ি বিভিন্ন উদ্ভিদের কচি পাতা, খনিজ লবণ ও ভিটামিন ইত্যাদি। এই খাদ্য মাছ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যতম উপাদান।
সুষম সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগে মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। এ খাদ্য প্রয়োগে পোনার বাঁচার হার বৃদ্ধি পায় ও মৃত্যুর হার হ্রাস পায়। এ জাতীয় খাদ্য প্রদানে পুকুরে সুস্থ ও সবল পোনা পাওয়া যায়। সম্পূরক খাদ্য প্রদানের ফলে মাছের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সম্পূরক খাদ্য প্রদানসহ নিবিড় পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ৪/৫ গুণ বেশি উৎপাদন পাওয়া যায়। অল্প জায়গায় অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়। পুকুর হতে অল্প সময়ে অধিক মাছ লাভ করা যায়।
শুধু স্বাভাবিক খাদ্য প্রয়োগে মাছের উৎপাদন আশানুরূপ হয় না। সুষম সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় বলে খামারিরা লাভ বেশি করে।
তাই সম্পূরক খাদ্য প্রদান সম্পর্কিত মৎস্য কর্মকর্তার উক্তিটি যথার্থ।