কৃষি বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকা 'কৃষিকথা'। এই পত্রিকার একটি প্রতিবেদন পড়ে শরিফুল সাহেব জানতে পারেন যে, চিংড়িকে বাংলাদেশের 'সাদা সোনা' বলা হয় এবং বাংলাদেশে এটি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে শরিফুল সাহেব তার পুকুরে চিংড়ি চাষের সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য তিনি মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলেন। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে মিশ্রচাষ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিলেন।
নিরাপদ মাছ সংরক্ষণ হলো আহরণের পর বিক্রি বা ভোক্তা কর্তৃক ক্রয়ের সময় পর্যন্ত মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে মাছের পচন রোধ করে সংরক্ষণ করা।
নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে মাছের খাদ্য উপাদান, যেমন- আমিষ ও খনিজ লবণের মান সংরক্ষণ করা যায়। এর মাধ্যমে মাছের দেহের ভিতরের এনজাইমের ক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করা যায়। মাছের রাসায়নিক উপাদানের জারণ ক্রিয়া রোধ করা যায়। মাছের আঁইশ, ফুলকা ও পাকস্থলীতে অবস্থানকারী ক্ষতিকর জীবাণুর কার্যক্রম রোধ করা যায়। সর্বোপরি ক্রেতা বা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সময়কালে মাছের গুণগতমান অক্ষুণ্ণ রাখা যায়। এ সকল কারণে নিরাপদ মাছ সংরক্ষণ প্রয়োজন।