Academy

কৃষি বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকা 'কৃষিকথা'। এই পত্রিকার একটি প্রতিবেদন পড়ে শরিফুল সাহেব জানতে পারেন যে, চিংড়িকে বাংলাদেশের 'সাদা সোনা' বলা হয় এবং বাংলাদেশে এটি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে শরিফুল সাহেব তার পুকুরে চিংড়ি চাষের সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য তিনি মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলেন। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে মিশ্রচাষ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিলেন।

উদ্দীপকে উল্লিখিত চিংড়ির বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করো। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 9 months ago | dsuc.updated: 9 months ago
dsuc.updated: 9 months ago

উদ্দীপকে উল্লিখিত চিংড়ি হলো গলদা চিংড়ি। নিচে গলদা চিংড়ির বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো-
দৈহিক বৈশিষ্ট্য: এরা সাধারণত হালকা নীল থেকে হালকা সবুজ রঙের
হয়ে থাকে। এদের রোস্ট্রাম লম্বা ও বাঁকানো। রোস্ট্রামের উপরে ১১- ১৪টি দাঁত ও নিচে ৮-১৪টি দাঁত থাকে, দাঁত সামান্য বাঁকানো। এদের দ্বিতীয় চলনপদ বড় ও সাঁড়াশিযুক্ত এবং নীল ও কালচে রঙের হয়ে থাকে। খোলসে ২-৫টি দাগ থাকে, ক্যারাপেসের ২য় খন্ড নিচের দিক সরু। গলদার পোনার খোলসে ২-৫টি কালচে আড়াআড়ি দাগ থাকে।
১ম ও ২য় জোড়া পা চিমটাযুক্ত।
চাষ বৈশিষ্ট্য: গলদা সর্বভুক প্রাণী। গলদা চিংড়ি রাতে খাবার খেতে পছন্দ করে। পুকুরের তলদেশের খাদ্য খেতে বেশি পছন্দ করে। সমবয়সী পুরুষ চিংড়ি স্ত্রী চিংড়ির চেয়ে বড় হয়। এরা লবণাক্ত পানিতে (> ৩০ পিপিটি) ডিম দেয়। আধা লবণাক্ত (১২ পিপিটি) পানিতে এদের ডিম ফুটে।

9 months ago

কৃষিশিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion