কৃষি বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকা 'কৃষিকথা'। এই পত্রিকার একটি প্রতিবেদন পড়ে শরিফুল সাহেব জানতে পারেন যে, চিংড়িকে বাংলাদেশের 'সাদা সোনা' বলা হয় এবং বাংলাদেশে এটি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে শরিফুল সাহেব তার পুকুরে চিংড়ি চাষের সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য তিনি মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলেন। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে মিশ্রচাষ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিলেন।
শরিফুল সাহেব পুকুরে গলদা চিংড়ির চাষ করবেন। এজন্য তিনি সঠিকভাবে চাষের পুকুর তৈরি করবেন যেন চিংড়ির খাদ্য প্রাপ্তি সহজ হয় ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
গলদা চিংড়ি চাষের জন্য শরিফুল সাহেব ঈষৎ ক্ষারীয় প্রকৃতির মাটিসমৃদ্ধ পুকুর নির্বাচন করবেন। পুকুরের পাড় উঁচু ও শক্ত করে বাঁধবেন। পুকুর শুকিয়ে অবাঞ্ছিত প্রাণী অপসারণ করে চুন ও সার প্রয়োগ করবেন। অবাঞ্চিত প্রাণী অপসারণের জন্য ৩-৫ পিপিএম রোটেনন প্রয়োগ করবেন। পুকুরে পানি প্রবাহ গেটে ১০ মিমি ব্যাসবিশিষ্ট ফাঁসের জাল বসাবেন। পুকুরে চিংড়ি ছাড়ার পূর্বে অতিরিক্ত আগাছা থাকলে সেখানে ২০. দিন আগে অল্পমাত্রায় গ্লাইসেল দিতে পারেন। এতে ব্যয় কমবে।
পুকুরে প্রতি শতকে ১ কেজি চুন প্রয়োগ করবেন। চুন প্রয়োগের ১ সপ্তাহ পর শতকে ১-২ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি দিবেন। পুকুরে পানির ভৌত, রাসায়নিক ও অণুজৈবিক বৈশিষ্ট্য ঠিক রাখার জন্য তিনি পানির pH ৭-৮.৫, লবণাক্ততা ০-৮ পিপিটি এবং পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন ৫ মিলিগ্রাম/লিটার বা এর বেশি রাখবেন।