উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র-ক দ্বারা গলদা চিংড়িকে নির্দেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে গলদা চিংড়ি চাষের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্রুত বর্ধনশীল, তুলনামূলক বেশি সুস্বাদু, উচ্চ বাজার মূল্য ও বিদেশে চাহিদা থাকায় গলদা চিংড়ির চাষ এদেশে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুকূল জলবায়ু, মাটি ও পানির কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম গলদা চিংড়ি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। গলদা চিংড়ি মিঠা বা স্বাদু পানিতে চাষ করা হয়। পুকুর, দিঘি, খাল, বিল, বাঁওড় ইত্যাদি জলাশয়ে এককভাবে কিংবা রুই জাতীয় মাছের সাথে গলদা চিংড়ি চাষ করা যায়। বর্তমানে ধানক্ষেতেও গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের নিচু এলাকায় নদীর স্বাদু বা মৃদু লবণাক্ত পানিতে ঘের নির্মাণ করেও এ চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে। কৃষি ডাইরি ২০২২ এর তথ্যানুযায়ী, আমাদের দেশে প্রায় ৩৩টি গলদা চিংড়ির হ্যাচারি রয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষে পুঁজি কম লাগে এবং তেমন কোনো পরিচর্যার দরকার হয় না। আবার ধানক্ষেতে গলদা চিংড়ি চাষের মাধ্যমে অধিক আয় করা সম্ভব। এছাড়াও খামার পর্যায়ে গলদা চাষে পরিবেশের তেমন ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না বলে এটি অর্থনৈতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশে গলদা চিংড়ির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।