চিত্রে প্রদর্শিত মাছটির নাম রাজপুঁটি। নিচে মাছটির চাষ লাভজনক কি না তার উত্তরের সপক্ষে আমার যুক্তি দেখানো হলো-
ফলনের দিক থেকে রাজপুঁটি মাছটি অন্য যেকোনো দেশিয় পুঁটি মাছের চেয়ে অধিক উৎপাদনশীল। অল্প খরচে ও সহজ ব্যবস্থাপনায় মৌসুমি পুকুর বা ধান কাটার পর পড়ে থাকা মাঝারি উঁচু থেকে মাঝারি নিচু জমিতে রাজপুঁটির চাষ করে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখা সম্ভব। মৌসুমি পুকুরে এ মাছ চাষ করে প্রতি শতকে ১০ কেজি হারে বিঘা প্রতি ৩৩০ কেজি মাছ আহরণ সম্ভব। প্রতি কেজি মাছ ৮০ টাকা হারে বিক্রি করলে আয় আসবে ২৬,৪০০ টাকা। গড় হিসেবে বলা যায়, ৫-১০ শতকের পুকুরে রাজপুঁটির চাষ করলে সেখান থেকে প্রতি ১ টাকা বিনিয়োগ করে ৬ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।
রাজপুঁটি মাছ বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। রাজপুঁটি মাছ চাষে অর্থনৈতিক ঝুঁকিও কম। মৌসুমি মাছ চাষের মধ্যে অর্থনৈতিক অবদানকারী মাছ হিসেবে রাজপুঁটির স্থান তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন পোনা সংগ্রহ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা সাফল্যজনক রাজপুঁটি মাছ চাষের পূর্বশর্ত।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে চিত্রে প্রদর্শিত মাছ অর্থাৎ রাজপুঁটি মাছ চাষ করা লাভজনক।