আলাল দীর্ঘদিন ধরে তার পুকুরে মাছ চাষ করলেও মাছ চাষ সম্পর্কে কোনো প্রশিক্ষণ পাননি। এ বছর তিনি তার পুকুরে রুই মাছ চাষ করেন। পোনা মজুদের সপ্তাহখানেক পর তিনি তার পুকুরে কিছু মাছের ফুলকায় রক্তক্ষরণ, ফুলকা পচা ও ফুলে যাওয়া লক্ষণ লক্ষ করেন। এমন সমস্যায় তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিলে কর্মকর্তা আলালকে এ রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য জৈবিক ও রাসায়নিক ব্যবস্থা বলে দেন। এ ব্যবস্থা নেওয়াতে রোগটি অন্য পুকুরে আর ছড়ায়নি।
উদ্দীপকে আলালের পুকুরে চাষকৃত রুই মাছ ফুলকা পচা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
এ রোগে মাছের গায়ে একধরনের সাদা গুটি দেখা যায়। এছাড়াও এ রোগে আক্রান্ত হলে ফুলকা ফুলে গিয়ে স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায় এবং মাছ পানির উপর ভেসে থাকে। Branchiomyces sanguinis নামক ছত্রাকের কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য আলাল মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শনুযায়ী নিম্নোক্ত জৈবিক ও রাসায়নিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন-
i. পুকুরের তলার কাদা সরিয়ে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করেন।
ii. পানিতে ২.৫% লবণ মিশিয়ে রোগাক্রান্ত মাছগুলোকে গোসল করিয়ে পুনরায় পুকুরে ছাড়েন।
iii. পুকুরের দূষিত পানি পরিবর্তন করে পরিশোধিত পানি দেন।
iv. সাময়িকভাবে জৈবসার প্রয়োগ বন্ধ রাখেন।
V. পুকুরের তলা ও পাড়ের ময়লা আবর্জনা এবং আগাছা পরিষ্কার করে দেন।
vi. মাছকে পরিমিত পরিমাণে সুষম খাদ্য সরবরাহ করেন।
উপরিউক্ত প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করায় রোগটি অন্য পুকুরে ছড়ায়নি। তাই বলা যায়, মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শটি যৌক্তিক ছিল।