জাবেদ সাহেব তার চার জন বন্ধুকে নিয়ে নতুন কুঁড়ি নামক একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা স্থাপন করেন। বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় অল্পসময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সফলতা পায়। কারখানাটি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে, পুঁজির স্বল্পতা দূরীকরণের জন্য বাজারে শেয়ার বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা সদস্যসংখ্যা ঠিক রেখে বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন দলিলপত্র তৈরি করেন এবং নিবন্ধকের নিকট আবেদন করেন।
উদ্দীপকে 'নতুন কুঁড়ি' প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার ছাড়ার অনুমতিপত্র পাবে না কেননা উক্ত প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। তবে প্রাইভেট লিমিটেডকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা গেলে শেয়ার ছাড়ার অনুমতি পাবে।
স্বাধীন সত্তা ও সীমিত দায়বিশিষ্ট ছোট ধরনের কোম্পানি সংগঠন হলো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। তাই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের আহ্বান জানাতে পারে না।
উদ্দীপকে দেখা যায়, 'নতুন কুঁড়ি' প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার অবাধে বাজারে বিক্রয় করতে পারে না। এ ধরনের কোম্পানিতে সদস্যসংখ্যা সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জনে সীমাবদ্ধ থাকে। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের ইচ্ছায় পুঁজির স্বল্পতা দূরীকরণের জন্য তারা বাজারে শেয়ার বিক্রয় করার উদ্যোগ নেয়। আইনগতভাবে বিভিন্ন দলিলপত্র নিবন্ধকের নিকট দাখিল করে। কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠানে সদস্য সংখ্যা ৫ জন, যা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির নূন্যতম সদস্যসংখ্যা ৭ জনের চেয়েও কম। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির সদস্য সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় নি বিধায় প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে যায়। তাই আমার মতে 'নতুন কুঁড়ি' প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার ছাড়ার অনুমতিপত্র পাবে না। কারণ এটি একটি প্রাইভেট লি. কোম্পানি, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি নয়।