মি. সাত্তার একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করেন। তিনি তিস্তা ব্যাংক লিমিটেডের কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেন। সকল সুযোগ-সুবিধা ঠিক থাকলেও তিনি লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় ভোগেন।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি ভোটাধিকার প্রদান, পরিচালক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মতামত প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা মি. সাভারের নিশ্চিত কররে।।
বর্তমান বৃহদায়তন ব্যবসায় জগতে কোম্পানি সংগঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ব্যবসায় সংগঠন। সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ ও বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহজ হয়। সদস্যদের দায় সীমিত হওয়ায় এর সদস্য বা শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার ক্রয়ে এবং পরিচালকগণ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
উদ্দীপকের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মি. সাত্তার বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করেন। সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি উত্ত ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেন। তবে তিনি লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। তিস্তা ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে মি. সাত্তার একদিকে যেমনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, অন্যদিকে তেমনি সাধারণ শেয়ারহোল্ডার বিধায় তিনি পরিচালকও নির্বাচিত হতে পারেন। তাছাড়া মি. সাত্তারের দায় তার ক্রয়কৃত শেয়ারের মূলোর সমান অর্থাৎ তিনি অসীম দায়ের অসুবিধা থেকে মুক্ত। উক্ত প্রতিষ্ঠান অধিক মুনাফা অর্জন করলে তিনি উক্ত মুনাফার ন্যায্য দাবিদার। সর্বোপরি কম ঝুঁকিতে তিনি বৃহদায়তনের চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন ব্যবসায়ের শেয়ারহোল্ডার বা মালিক। তিনি সাধারণ শেয়ারহোল্ডার বিধায় যেকোনো সময় তার প্রয়োজন অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর সুবিধা ভোগ করেন।
সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি ভোটাধিকার প্রদান, পরিচালক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মতামত প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা মি. সাত্তারের নিশ্চিত করবে।