জনাব আরেফিন, ক ও খ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত। ক প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড লাইসেন্স এবং খ প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনপত্র নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিল। মেয়াদ শেষে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য ক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক জনাব আরেফিনকে নোটিশ প্রদান করে। খ এর ক্ষেত্রে মালিক আরেফিনের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সচ্ছল।
উদ্দীপকে জনাব আরেফিনকে ক প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসাবে ঋণদায় পরিশোধের নোটিশ প্রদানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
(উচ্চতর দক্ষতা)উদ্দীপকের জনাব আরেফিনকে ক প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে ঋণদায় পরিশোধের নোটিশ প্রদানের যৌক্তিকতা রয়েছে। কেননা একমালিকানা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবসায় ও মালিকের সত্তা অভিন্ন।
একমালিকানা ব্যবসায়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আইনানুগ কোনো পৃথক সত্তা বা অস্তিত্ব থাকে না। মালিকের সত্তাই এক্ষেত্রে মুখ্য। ব্যবসায়ের সাথে লেনদেন মূলত মালিকের সাথে লেনদেন বলে ধরা হয়। কোনো চুক্তিতে ব্যবসায়ের নাম থাকতে পারে তবে তা মালিক কর্তৃকই স্বাক্ষরিত হয় এবং তা কার্যত মালিকের সাথেই সম্পাদিত হয়েছে বলে ধরা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকের ক প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব আরেফিন। ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু করেন। আর যেহেতু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসায়িক কাজ শুরু করা যায়। তাই বলা যায়, ক প্রতিষ্ঠানটি হলো একমালিকানা কারবার। তাছাড়া ক প্রতিষ্ঠানটির জন্য গৃহীত ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ প্রদান না করে জনাব আরেফিনকে নোটিশ প্রদান করা হয়। কেননা একমালিকানা ব্যবসায়ের আইনানুগ কোনো পৃথক সত্তা নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবসায় ও মালিকের সত্তা অভিন্ন।
সুতরাং বলা যায়, ক প্রতিষ্ঠানটি একমালিকানা কারবার হওয়ায় জনাব আরেফিনকে ক প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে ঋণদায় পরিশোধের নোটিশ প্রদানের যৌক্তিকতা রয়েছে।