সাহাদ যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে লেখাপড়া করছে। সে একটি বিষয়ের সংজ্ঞা পড়ে সংজ্ঞাটি ভালোভাবে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে। সংজ্ঞাটি পড়ে সে অনেকগুলো নতুন শব্দ ও তার অর্থ জানতে পারে। সংজ্ঞাটিতে এমন কতগুলো শব্দ আছে যেগুলোর একাধিক অর্থ আছে। সংজ্ঞাটিতে সেই শব্দগুলো এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হবে তারও সংজ্ঞা বলে দেওয়া আছে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত সাহাদের পাঠ করা বিষয়টিতে শব্দের সঞ্চয় বৃদ্ধি করা ও শব্দের মধ্যকার দ্ব্যর্থকতা অপসারণ করা উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। নিচে তা নিরূপণ করা হলো-
কপির মতে, ভাষা একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা মানুষ আয়ত্ত করে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুশীলনের মাধ্যমে। অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ ও অনুকরণের মাধ্যমে। তবে কেবল পর্যবেক্ষণ ও অনুকরণ ভাষা শিক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন শব্দের অর্থ অনুধাবন করা। আর শব্দের অর্থ অনুধাবনের জন্যই শব্দের সঞ্চয় বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে একমাত্র যৌক্তিক সংজ্ঞায়নের মাধ্যমেই শব্দের সঞ্চয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। কোনো শব্দ দ্ব্যর্থক অর্থে ব্যবহৃত হলে আমরা যে উদ্দেশ্যে শব্দটিকে ব্যবহার করি, সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। আর এরূপ ক্ষেত্রেই শব্দের সংজ্ঞায়ন প্রয়োজন। বস্তুত যৌক্তিক সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে আমরা শব্দের দ্ব্যর্থকতা দূর করে শব্দের অর্থ সুস্পষ্ট করতে পারি। সাধারণত যেকোনো দ্ব্যর্থক শব্দকে সংজ্ঞায়িত করার মাধ্যমেই মূলত এর মধ্যকার দুই অর্থের পার্থক্যকে সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। আর এভাবেই সংজ্ঞা শব্দ বা পদের মধ্যকার দ্ব্যর্থকতা দূরীকরণে আমাদের সাহায্য করে থাকে। উপর্যুক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, উদ্দীপকে সাহাদের পাঠ করা সংজ্ঞাটিতে সংজ্ঞার শব্দের সঞ্চয় বৃদ্ধি করা ও শব্দের মধ্যকার দ্ব্যর্থকতা অপসারণ করার উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে।