Academy

সাহাদ যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে লেখাপড়া করছে। সে একটি বিষয়ের সংজ্ঞা পড়ে সংজ্ঞাটি ভালোভাবে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে। সংজ্ঞাটি পড়ে সে অনেকগুলো নতুন শব্দ ও তার অর্থ জানতে পারে। সংজ্ঞাটিতে এমন কতগুলো শব্দ আছে যেগুলোর একাধিক অর্থ আছে। সংজ্ঞাটিতে সেই শব্দগুলো এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হবে তারও সংজ্ঞা বলে দেওয়া আছে।

উদ্দীপকে সাহাদের পাঠ করা সংজ্ঞাটিতে একটি যথার্থ সংজ্ঞার আর কোন কোন উদ্দেশ্য থাকতে হবে? বিশ্লেষণ কর। (উচ্চতর দক্ষতা)

dsuc.created: 8 months ago | dsuc.updated: 8 months ago
dsuc.updated: 8 months ago

উদ্দীপকে উল্লেখিত সাহাদের পাঠ করা সংজ্ঞাটিতে শব্দের সঞ্চয় বৃদ্ধি করা ও শব্দের মধ্যকার দ্ব্যর্থকতা অপসারণ করা উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়া একটি যথার্থ সংজ্ঞার অস্পষ্টতা দূরীকরণ, শব্দের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায়ন ও অপরের মনোভাবকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

সংজ্ঞার কাজই হলো শব্দের মধ্যকার অস্পষ্টতা দূর করে শব্দ বা পদের অর্থ সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টকরণে আমাদের সাহায্য করা। একটি শব্দ দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে তা যদি সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য না হয় তাহলে সেই শব্দ অস্পষ্ট বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। যেমন: বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট কিছু ভাইরাস (Virus) সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না যে, সেগুলো 'জীবিত' বা 'জীবিত নয়'। কারণ তারা জানেন না যে, এসব ভাইরাসের চলাচল ক্ষমতা, পুনরুৎপাদন ক্ষমতা আছে কি-না। কপির মতে, এ ক্ষেত্রে 'জীবিত' কথাটি একটি অস্পষ্ট পদ। আর সংজ্ঞার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে এ জাতীয় শব্দের অস্পষ্টতা দূর করে সেগুলোকে সব মানুষের বোধগম্য করে তোলা।

যৌক্তিক সংজ্ঞার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হলো শব্দ বা পদের তাত্ত্বিক বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে শব্দ বা পদকে তাত্ত্বিক বা বৈজ্ঞানিক দিক থেকে ব্যবহারযোগ্য করে তোেলা। যার ফলে আমরা বৈচিত্র্যপূর্ণ জাগতিক বস্তুসমূহের সাথে পরিচিত হতে পারি। প্রকৃতপক্ষে সংজ্ঞায়ন তাত্ত্বিক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। যৌক্তিক সংজ্ঞার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হলো শব্দ বা পদের অর্থ স্পষ্ট করার সাথে সাথে অপরের মনোভাবের উপর প্রভাব বিস্তার করা। সাধারণত কোনো বিষয় সম্পর্কে কোনো একটি ভুল ধারণা প্রচলিত থাকলে তা দূরীকরণে সংজ্ঞাই একমাত্র মাধ্যম। সংজ্ঞা মূলত একটি যথাযথ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া বলে তা অতিসহজেই সাধারণ মানুষের যেকোনো বদ্ধমূল মনোভাব পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। উদাহরণস্বরূপ, এক ব্যক্তি তার বন্ধুর হিতাকাঙ্ক্ষী না হওয়া সত্ত্বেও তাকে সমর্থন করে সৎ বলে প্রশংসা করতে পারেন। বস্তুত সৎ হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি সর্বাবস্থায় সত্য কথা বলে থাকেন। উপর্যুক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, একটি যথার্থ সংজ্ঞার অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

7 months ago

যুক্তিবিদ্যা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion