সুহাস ও কাঞ্চন দুজন সহপাঠী বন্ধু। তারা উভয়ে যুক্তিবিদ্যার ছাত্র। সুহাসের কাছে সংজ্ঞা ও বর্ণনার মধ্যে পার্থক্যের বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়। এজন্য সে কাঞ্চনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। একদিন কাঞ্চন ক্লাসে পাঠদানকারী শিক্ষকের কাছে জানতে চায়, স্যার, যুক্তিবিদ্যায় সংজ্ঞা ও বর্ণনার মধ্যে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? শিক্ষক মহোদয় জানান, আমরা কোনো পদ বর্ণনায় ঐ পদের প্রকৃত অর্থ প্রকাশ করি যা সবার কাছে স্পষ্ট হয়। আর বর্ণনার তুলনায় সংজ্ঞার গুরুত্ব বেশি।
শিক্ষক উদ্দীপকে সংজ্ঞা ও বর্ণনার পার্থক্যের ধারণাকে ইঙ্গিত করেছেন। নিচে সংজ্ঞা ও বর্ণনার পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
◇ সংজ্ঞায় পদের পূর্ণ জাত্যর্থকে উল্লেখ করা হয়। আর বর্ণনায় কখনো উপলক্ষণ, কখনো অবান্তর লক্ষণ, আবার কখনো জাত্যর্থের অংশবিশেষের সাথে এগুলোকে মিশিয়ে উল্লেখ করা হয়।
◇ সংজ্ঞা নিয়মকানুনের উপর নির্ভরশীল; কিন্তু বর্ণনায় কোনো ধরাবাঁধা নিয়মকানুন নেই।
◇ সংজ্ঞার মূল্য সবসময়ই সমান, কিন্তু বর্ণনার মূল্য সবসময় সমান নয়।
◇ আমরা জাতির সংজ্ঞা দিই, আর বস্তুর বর্ণনা দিই।
◇ সংজ্ঞা একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, আর বর্ণনা একটি লৌকিক প্রক্রিয়া।
উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, সংজ্ঞায় একটি পদের প্রকৃত অর্থ প্রকাশিত হয় কিন্তু বর্ণনায় পদের প্রকৃত অর্থ সুস্পষ্ট হয় না। তাই বলা যায়, সংজ্ঞা ও বর্ণনা দুটি আলাদা বিষয়। সুতরাং যুক্তিবিদ্যায় সংজ্ঞা ও বর্ণনার গুরুত্ব অপরিসীম।