সুমন বললো, "জীবজগতে মানুষই কেবল নিজের বুদ্ধি দিয়ে চাঁদকে জয় করেছে, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছে, উড়োজাহাজ আবিষ্কার করেছে।” স্বপন বললো, "মানুষ আগে কাপড় হিসেবে গাছপালার ছাল ও পাতা ব্যবহার করত, কিন্তু এখন মানুষ বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তৈরি করে সভ্য হয়েছে।” মানুষের ব্যাখ্যায় রতন বললো, "মানুষ হলো তারাই যাদের দুটি হাত ও পা রয়েছে।"
উদ্দীপকে স্বপন বললো, “মানুষ আগে কাপড় হিসেবে গাছপালার ছাল ও পাতা ব্যবহার করত, কিন্তু এখন মানুষ বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তৈরি করে সভ্য হয়েছে।” এতে যৌক্তিক সংজ্ঞার 'বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি' ঘটেছে। কোনো পদের সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ করা হয় এবং সেই অতিরিক্ত গুণটি যদি উপলক্ষণ হয়, তাহলে 'বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি' ঘটবে। যেমন: 'মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন এমন জীব যে ভালো-মন্দ বিচার করতে পারে।' এখানে 'ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা'- এ অতিরিক্ত গুণটি উপলক্ষণ হওয়ায় বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
অনুরূপ স্বপনের বক্তব্যে 'সভ্য হয়েছে' অতিরিক্ত গুণটি উপলক্ষণ হওয়ায় এতে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে। অপর পক্ষে উদ্দীপকে রতন মানুষের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছে, "মানুষ হলো তারাই যাদের দুটি হাত ও পা রয়েছে।” এখানে অবান্তর লক্ষণজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে। সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ করা হয় এবং সে অতিরিক্ত গুণটি যদি 'অবান্তর লক্ষণ' হয়, তবে সেক্ষেত্রে 'অবান্তর লক্ষণজনিত অনুপপত্তি ঘটে'। যেমন: 'সব মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন দ্বিপদ প্রাণি'- এই যুক্তিবাক্যে 'দ্বিপদ' শব্দটি মানুষ পদের অতিরিক্ত অবান্তর গুণ। এই গুণটি অবিচ্ছেদ্য অবান্তর লক্ষণ। 'মানুষ' পদ থেকে এই অতিরিক্ত অবান্তর লক্ষণ গুণটি বিচ্ছেদ করা যায় না। এক্ষেত্রে সংজ্ঞাটিতে অবান্তর লক্ষণজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে। অনুরূপ উদ্দীপকের 'দুটি হাত ও পা' মানুষ পদের অতিরিক্ত অবান্তর গুণ। তাই বক্তব্যটিতে অবান্তর লক্ষণজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।