বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা
অত্যন্ত বিখ্যাত। প্রতিবছর এ চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় বাগেরহাটের প্রকৃত চিংড়ি চাষিরা এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। একথা ভেবে জনাব হিমেল বাগেরহাটে একটি অত্যাধুনিক হিমাগার স্থাপন করেছেন। ফলে চাষি এবং ভোক্তা উভয় শ্রেণিই চিংড়ি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
"বিপণন কর্মকাণ্ড জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক"- উক্তিটি সঠিক ও যথার্থ।
উৎপাদকের নিকট থেকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী ভোক্তাদের নিকট। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পৌছানোর জন্য যে সকল কাজ সম্পাদনের প্রয়োজন হয়, সেগুলোই বিপণন কার্যাবলি। এককথায় বিপণন কার্যাবলি হলো উৎপাদকের নিকট হতে ভোস্তার নিকট পণ্য পৌছানোর সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ। বিপণনের কর্মকান্ডগুলো উৎপাদক এবং চূড়ান্ত ভোক্তার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে। মানুষের বিভিন্নমুখী চাহিদা পূরণে ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিপণন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত। এ চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। চাষকৃত চিংড়ির উপযুক্ত সংরক্ষণের জন্য জনাব হিমেল বাগেরহাটে একটি হিমাগার স্থাপন করেন যার মাধ্যমে সময়গত উপযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে চাষি এবং ভোক্তা উভয় শ্রেণিই চিংড়ি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের মাধ্যমে উপকৃত হয়। হিমাগার স্থাপন তথা সময়গত উপযোগ সৃষ্টি বিপণন কার্যাবলির অন্তর্গত। অত্যাধুনিক হিমাগার স্থাপনের ফলে অতিরিক্ত লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এছাড়া সংরক্ষণের সুযোগ থাকায় এখন অনেক মানুষ চিংড়ি চাষের প্রতি ঝুঁকবে। এতে ব্যাপক আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং আয় বৃদ্ধি পাবে যা জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়া বিপণনের উক্ত কর্মকান্ডের ফলে ভোক্তারাও সবসময় চিংড়ি ক্রয় করে ভোগ করতে পারবে। এতে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে।
পরিশেষে বলা যায়, বিপণনের কার্যাবলি সম্পন্নের সাথে সাথে মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান তথা আয়-রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং ভোগের সামর্থ্যও বৃদ্ধি পায় যা মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটায়।