জনাব আকবর দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়
পরিচালনা করছেন। তিনি দেশীয় খাবারের সাথে থাই ও চাইনিজ খাবার পরিবেশন করেন। রুচিসম্মত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার পরিবেশনে তিনি সবসময় সচেষ্ট। বর্তমানে একই এলাকায় জনাব তারিক আরেকটি রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। জনাব তারেক সরাসরি কৃষক ও খামারীদের নিকট হতে তাজা শাক-সবজি ও মাছ-মাংস সংগ্রহ করে তার রেস্টুরেন্টে রুচিসম্মত খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিপণনের সামাজিক প্রক্রিয়া বৈশিষ্ট্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কারণে মি. তারেকের রেস্টুরেন্টটি সাফল্য পেয়েছে।
সমাজে বসবাসরত মানুষের প্রয়োজন, অভাব এবং চাহিদা মিটানোর
লক্ষ্যে সমাজ, সংস্কৃতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে বিপণনের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিংবা নিরাপদ নয় এমন কোনোকিছুকে বিপণন সমর্থন করে না। বিপণনের সামাজিক প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যটি পরিবেশ সচেতনতার বিষয়েও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। উদ্দীপকে মি. তারেকের রেস্টুেরেন্ট ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ও বিদেশি খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। ভোক্তাকে এ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে ভোক্তার চাহিদা এবং অভাবকেও যেমন একজন ব্যবসায়ীকে বিবেচনা করতে হয়, তেমনি সামাজিক অবকাঠামোর যেন কোনো ক্ষতিসাধিত না হয় সেদিকেও নজর দিতে হয়। এখানে মি. তারেকের রেস্টুেরেন্ট ভোক্তার সন্তুষ্টির সাথে সাথে পরিবেশ সচেতনতার প্রতিও মনোনিবেশ করছে। উক্ত সামাজিক বিপণন কর্মসূচি প্রণয়নে নৈতিকতা, পরিবেশগত, আইনগত ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
সুতরাং বলা যায়, বিপণনের সামাজিক প্রক্রিয়া বৈশিষ্ট্যের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই জনাব আকবরের রেস্টুরেন্টের তুলনায় মি. তারেকের রেস্টুরেন্টটি সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছে।