রঞ্জু ১০ বছরের কিশোর। তার বাবা নেই। মা বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। ঢাকার এক ঘিঞ্জি বস্তিতে তাদের বসবাস। প্রায় খাদ্যের অভাবে তাদের না খেয়ে থাকতে হয়। রঞ্জু স্কুলে না গিয়ে একটি হোটেলে কাজ করে। একসময় সে একটি এনজিওর খবর পায় এনজিওটি শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা প্রদান করে। এরপর মেধা অনুযায়ী তাদেরকে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ করে দেয়।
রঞ্জ মৌলিক মানবিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত।
বর্তমান যুগে মানুষকে সভ্য সমাজে সমাজে টিকে থাকতে হয় সমাজে ভালোভাবে টিকে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তা পূরণ করাই হলো মৌলিক মানবিক চাহিদা। অন্যভাবে বলা যায়, একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশ এবং সভ্য সমাজে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল চাহিদা পূরণ করতে হয় সেসব চাহিদাকে বলা হয় মৌলিক মানবিক চাহিদা। এ চাহিদাগুলো পূরণ ব্যতীত পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা। প্রতিটি মানুষের এ চাহিদাগুলো পূরণ করা আবশ্যক। যদি কেউ এগুলোর বেশিরভাগ পূরণ করতে না পারে তাহলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
রঞ্জুর ক্ষেত্রেও দেখা যায়, সে প্রায়ই খাদ্যের অভাবে না খেয়ে থাকে এবং স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এগুলো সবই মৌলিক মানবিক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায়, রঞ্জু মৌলিক মানবিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত।