জনাব হায়দার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ছেলের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি বয়স এবং শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে ছেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু ছেলে ব্যস্ততার কারণে বাবাকে সময় দিতে না পেরে একটি প্রতিষ্ঠানে রেখে আসেন। সেখানে তার মতো আরো অনেক আশ্রয়হীন বয়স্ক ব্যক্তিরা জীবনযাপন করে থাকেন।
উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটির নাম হলো বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান।
উদ্দীপকের জনাব হায়দার বয়স ও শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে ছেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ছেলে ব্যস্ততার কারণে বাবাকে সময় দিতে পারে না। তাই একাকী ও অসহায় হায়দার সাহেবকে তার ছেলে একটি প্রতিষ্ঠানে রেখে আসেন। এ প্রতিষ্ঠানে জনাৰ হায়দারের মতো আরো অনেক আশ্রয়হীন বয়স্ক ব্যক্তিরা রয়েছেন।সংস্থাটি প্রবীণ হিতৈষী সংঘকে নির্দেশ করে। প্রবীণ হিতৈষী সংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো প্রবীণ বয়সে সবার জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং চিন্তামুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় জীবনযাপনের দিকনির্দেশনা দেওয়া। এছাড়াও বার্ধক্যের কারণ, ধরন, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে অনুসন্ধান করা; প্রবীণদের অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পাক্ষিক, পোস্টার, বই, জার্নাল ও পত্রপত্রিকা প্রকাশ করা। প্রবীণদের জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য, বস্তু, চিত্তবিনোদন, পুনর্বাসন, আয় ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। এছাড়া সে সব প্রবীণ যারা শারীরিকভাবে সক্ষম তাদের জন্য সুবিধাজনক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রবীণদের সমস্যা ও প্রয়োজন সম্পর্কে ব্যক্তি ও সমষ্টি পর্যায়ে নীতি নির্ধারক, পরিকল্পনাকারী এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থাকে সচেতন করে তোলাও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য।