জনাব হায়দার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ছেলের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি বয়স এবং শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে ছেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু ছেলে ব্যস্ততার কারণে বাবাকে সময় দিতে না পেরে একটি প্রতিষ্ঠানে রেখে আসেন। সেখানে তার মতো আরো অনেক আশ্রয়হীন বয়স্ক ব্যক্তিরা জীবনযাপন করে থাকেন।
উদ্দীপকে নির্দেশিত বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ প্রবীণ কল্যাণে বহুবিধ কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে।
প্রবীণদের স্বাস্থ্য, কল্যাণ, সংগঠন ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে অবহিত, সচেতন, উদ্যোগী ও সক্ষম করার লক্ষো প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত নানা ধরনের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন করে আসছে। প্রবীণ হিতৈষী সংঘ একটি হাসপাতালও বটে। এখানে বহির্বিভাগে প্রবীণ রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীদেরও বিভিন্ন বিষয়ে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-- নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অসচ্ছল বয়স্ক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
প্রবীণ হিতৈষী সংঘে ৫০ শয্যার চারতলা বিশিষ্ট একটি আবাসিক চিকিৎসা সুবিধা কেন্দ্র রয়েছে। এখানে অভিজ্ঞ ডাক্তার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ছয়তলা বিশিষ্ট একটি বৃদ্ধ নিবাস ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। সেখানে ৫০ জন (কম-বেশি হতে পারে) প্রবীণের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রবীণদের জন্য নিয়মিতভাবে ওপেন হাউস, ঈদ পুনর্মিলনি, বনভোজন, মিলাদ মাহফিল, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ঢাকা ব্যতীত রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট এ পাঁচটি বিভাগীয় শহরে এবং ৫৪টি শাখার মাধ্যমে সারাদেশে চিকিৎসা সেবা দানসহ উপার্জনধর্মী নানা কল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে প্রবীণ হিতৈষী সংঘ।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ বাংলাদেশের প্রবীণদের জন্য কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন - করছে।