১৯৬০ সালে জনাব "ম" বয়স্কদের সেবার জন্য ঢাকার শেরেবাংলা নগরে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ সংস্থাটির উদ্দেশ্য বয়স্কদের জীবনকে স্বস্তিদায়ক করা, তাদের সুস্থ জীবন, ভাবনাহীন আনন্দময় জীবন ও বয়স্কদের সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত জ্ঞান দান করা। বর্তমানে এটি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা, কর্মসংস্থান, চিত্তবিনোদন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
আমি মনে করি বয়স্কদের সমস্যা সমাধানে উদ্দীপকে নির্দেশিত সংস্থাটির আরও কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।
সমাজসেবী ডা. একে এম আব্দুল ওয়াহেদ এদেশের বয়স্কদের কল্যাণের জন্য ১৯৬০ সালে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সংস্থাটি বয়স্কদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সেগুলো সমাধানসহ সার্বিক কল্যাণ সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্দীপকের জনাব 'ম' এর প্রতিষ্ঠানটি একইভাবে বয়স্কদের সুস্থ ও আনন্দময় জীবনযাপনে সহায়তা করছে যা বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে সংস্থাটি বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে সংস্থাটি এগুলোর পাশাপাশি আরও কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।
যেমন- সংস্থাটি অস্বচ্ছল বয়স্কদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে পারে। তাদের আবাসন সুবিধা দেওয়ার জন্য বৃদ্ধ নিবাস গড়ে তুলতে পারে। প্রবীণদের কল্যাণ সাধনে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন, উদ্যোগী ও সক্ষম করে তুলতে এটি নানা ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, সমাবেশ ইত্যাদির আয়োজন করতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিদের যত্নের বিষয়ে কোর্স পরিচালনা এবং বয়স্কদের জন্য পরিবার ও সম্প্রদায়ভিত্তিক যত্নকে সংগঠিত করতে পারে। এছাড়া সংস্থাটি বয়স্কদের সমস্যা সম্পর্কিত গবেষণা এবং বয়স্কদের প্রতি আগ্রহী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে পারে।
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকে বর্ণিত কার্যক্রমগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।