Academy

১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের একটি গ্রাম থেকে ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নোবেল পুরস্কার লাভ করে। 

উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করো। (প্রয়োগ)

dsuc.created: 1 month ago | dsuc.updated: 1 month ago
dsuc.updated: 1 month ago

উদ্দীপকে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংক হলো ক্ষুদ্রঋণ লগ্নিকারী একটি স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ও ভূমিহীনদের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবনমানের উন্নয়নে এই ব্যাংক কাজ করে। গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম মূলত একটি শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ১ জন ম্যানেজার, ৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা কর্মী নিয়ে একটি শাখা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ১. অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং ২. সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক ও গৃহনির্মাণ ঋণ, উচ্চশিক্ষা ঋণ এবং ভিক্ষুক ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণদান কর্মসূচির মাধ্যমে ভূমিহীন কৃষকরা উন্নত বীজ, চাষাবাদের যন্ত্রপাতি কিনতে পারছে। এছাড়া এই সংস্থার কোনো সদস্য মারা গেলে ১৫,০০০ টাকা হারে জীবন বিমাও দেওয়া হয়। অন্যদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির আওতায় গৃহায়ণ সমস্যা নিরসন; দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা ঋণ বিতরণ; বনায়ন কর্মসূচি; হাঁস-মুরগি পালন; পেনশন তহবিল পরিচালনা প্রভৃতি কার্যক্রম চালানো হয়। এ সমস্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সংস্থাটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

1 month ago

সমাজকর্ম

Please, contribute to add content.
Content
Promotion