জনাব হামিদ 'এসএস চট্টগ্রাম' নামক একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। সংস্থাটি অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি শহরের কর্মজীবী শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে। সম্প্রতি এটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে।
উদ্দীপকের 'এস এস চট্টগ্রামের' কার্যক্রমের সাথে আমার পঠিত বেসরকারি সংস্থা ইউসেপ এর কার্যক্রমের মিল রয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু অথবা কিশোর-কিশোরীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচির প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায় উদ্দীপকের 'এস এস চট্টগ্রামের' কার্যক্রমে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত 'এস এস চট্টগ্রাম' নামের সংস্থাটি অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি শহরের কর্মজীবী শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে। সম্প্রতি এটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউসেপও শহর এলাকায় বসবাসরত শ্রমজীবী শিশু, কিশোর-কিশোরী যাদের বয়স ১০-১৪ বছর এবং যাদের অধিকাংশই বিভিন্ন বস্তিতে বাস করে তাদের নিয়ে। কাজ করে। যেসব শ্রমজীবী ছেলেমেয়েদের বয়স ১০-১১ বছরের বেশি তাদের চার বছর মেয়াদী সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি করাহয়। সাধারণ শিক্ষা পাঠ্যক্রমকে শ্রমজীবী ছেলেমেয়েদের জীবন উপযোগী করার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত পাঠ্যসূচিকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়। নিজস্ব স্কুল ভবনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়া ইউসেপ শ্রমজীবী বালক-বালিকাদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে। সাধারণ স্কুলের সাড়ে চার বছর সাধারণ শিক্ষা শেষ করার পর তার ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের কারিগরি স্কুলে ভর্তি করানো হয়। এ লক্ষ্য অর্জনে ইউসেপ ৩টি কারিগরি বিদ্যালয় পরিচালনা করছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের সংস্থাটির কার্যক্রমের সাথে ইউসেপের কার্যক্রমের মিল বিদ্যমান।