জনাব হামিদ 'এসএস চট্টগ্রাম' নামক একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। সংস্থাটি অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি শহরের কর্মজীবী শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে। সম্প্রতি এটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে।
মানবসম্পদ উন্নয়নে উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত সংস্থাটির অর্থাৎ ইউসেপের যথেষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে।
ইউসেপ একটি সেবামূলক সংগঠন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভাগ্য উন্নয়নে এ সংগঠনটি নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শহরাঞ্চলে জীবিকার তাগিদে অনেক শিশু-কিশোর ছোটোখাটো কাজ করে।' কাজ করতে গিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি দেশও পিছিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাদেরকে নিয়ে ইউসেপের উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
ইউসেপ শ্রমজীবী ছেলেমেয়েদের জন্য সাধারণ শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এতে মাত্র ৪ বছরে একজন শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করে। স্কুলগুলোতে ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে কর্ম উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারে। আবার শ্রমজীবী বালক-বালিকাদের জন্য ইউসেপ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। ইউসেপের টেকনিক্যাল স্কুলগুলোতে যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তা শিক্ষার্থীদের কাজের জন্য দক্ষ হিসেবে তৈরি হতে সাহায্য করে। যেমন- আশা ওয়েল্ডিং এবং ফেব্রিকেশন, অটোমেকানিক্স, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেসমেকিং ইত্যাদি।
ইউসেপ বাংলাদেশ কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রেনিং সেল স্থাপন করেছে। এছাড়া সংস্থাটি মনে করে সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করার পর শিক্ষার্থীরা দরিদ্র অবস্থা থেকে বের হয়ে নাও আসতে পারে। এজন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। এতে শ্রমজীবী বালক-বালিকাদের আর কারও বোঝা হয়ে থাকতে হয় না। তারা নিজের এবং পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারে। এভাবে তারা দক্ষ মানবশক্তিতে পরিণত হয় এবং দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে। এ আলোচনা থেকে বোঝা যায়, মানবসম্পদ উন্নয়নে ইউসেপ অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।