সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা নিয়ে সবাই শঙ্কিত। গার্মেন্টস কর্মীদের এহেন অবস্থার উন্নতির জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। তাদের স্বার্থে দেশের সর্বসাধারণ রাস্তায় নেমে মিছিল করে, মানববন্ধন করে। ফলে সরকারও সচেতন হয়ে ওঠে। তাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশ্বাস প্রদান করে।
জনকল্যাণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যতগুলো শর্ত আছে, জনমত তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনমত সরকারের চলার পথের নির্দেশনা দান করে থাকে। জনমতকে উপেক্ষা করে কোনো কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হলে তা কখনই কার্যকরী ও ফলপ্রসূ হয় না।
গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন। জনগণের জন্য, জনগণ দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থা। বর্তমান বৃহত্তর জনসংখ্যা অধ্যুষিতদেশগুলোর জনগণের পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করা অসম্ভব ব্যাপার। পরোক্ষভাবে প্রতিনিধি পাঠিয়ে জনগণ শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে থাকে। এরূপ শাসনব্যবস্থায় জনগণ সরাসরি কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। জনগণের মতামতকে সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমলে আনতে চায় না।
সরকার দলীয় স্বার্থে কিংবা নিজেদের স্বার্থে কোনো কাজ করতে চায় বা বৃহত্তর কোনো কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করতে পারে। জনমত এসব কাজগুলো সরকারকে করতে বা না করতে বাধ্য করতে পারে। জনমত জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। জনমতের ভিত্তিতেই একটি সরকার অধিকতর জনকল্যাণকামী, কার্যকরী ও ফলপ্রসূভাবে কাজ করতে পারে। জনমতের ভিত্তিতে পরিচালিত শাসনব্যবস্থাই কল্যাণমূলক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে।