দীর্ঘদিন ধরে 'ক' রাষ্ট্রটিতে একটি সুষ্ঠু ধারা বিরাজ করে আসছে। কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন সরকার নিজের খুশিমতো সবকিছু করত। পরবর্তীতে জনগণের আন্দোলনের ফলে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। সরকার সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে।
ফলে রাষ্ট্রটিতে সকলে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
উদ্দীপকের 'ক' রাষ্ট্রটি বর্তমানে একটি জনবান্ধর রাষ্ট্র। সরকার জনমতের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত আছে। সরকার সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকদেরকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। জনগণের কল্যাণের জন্য সরকার সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনসেবা, প্রশাসন, সমাজকল্যাণ সবকিছুই হচ্ছে জনগণকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ বলা যায়, 'ক' রাষ্ট্রটি একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। কিন্তু এ অবস্থা একদিনে হয় নি। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, খামখেয়ালিপনা ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে। আর এরূপ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে জনমতের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। জনমতের চাপে পড়েই সরকার এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মানসম্পন্ন গণতন্ত্রে পদার্পণ করেছে।